গোটা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় ৫০ মুসল্লি নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার তিনি এ ঘোষণা দেন বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
Advertisement
ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) এক জরুরি বৈঠকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হলোকাস্ট গহত্যার পর মানবতার জন্য ইহুদী বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করা হচ্ছে ঠিক তেমন করে বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই করা উচিত।’
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসি’র সদস্যভূক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মসজিদে হামলার পর নিউজিল্যান্ড সরকার ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের জন্য আরডার্ন যে সমানুভূতি ও সংহতি দেখিয়েছেন সেটা বিশ্ব নেতাদের জন্য উদাহরণ হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন>> মহানবীর (সা.) উদ্ধৃতিতে শান্তির বার্তা প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডার
Advertisement
সম্মেলনে উপস্থিত অন্যদেরকে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটারস ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ হামলার পরও তাদের দেশে মুসলিমদের বসবাস নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। উল্লেখ্য, মসজিদে হামলার পর এরদোয়ান নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সমালোচনা করেন।
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটা মসজিদে মুসল্লিরা যাতে শান্তিতে নামাজ আদায় করতে পারে তা নিশ্চিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশকে। গোটা দেশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দেশের বন্দুক নীতি কঠোর করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক মাধ্যমে যে ঘৃণা ছড়ানো হয় তা প্রতিহত করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নামাজের সময় নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয় ৫০ মুসল্লিকে। হামলায় আহত হন আরও ৪২ জন। সেই হামলা চালান অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত উগ্রপন্থী ব্রেন্টন ট্যারান্ট। হামলাকারী ছিলেন শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের একজন অনুসারী। সেই কারণেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার এই বর্বর হামলা।
এসএ/এমএস
Advertisement