দেশজুড়ে

আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ১২টি মোটরসাইকেল।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় নৌকার প্রার্থী হাজী মোশারফ হোসেনের সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মোটরসাইকেল প্রতীকের মোকছেদুর রহমান লেবুর সমর্থকদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের উত্তর কালাকুমা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবুর মোটরসাইকেলের সমর্থক মো. জহুরুল হককে মোটরসাইকেলের কার্যালয় বন্ধ করতে এবং নির্বাচন করতে নিষেধ করেন নৌকার সমর্থকরা। এ সময় জহুরুল ও তার বোন জাহানারা বেগমের সঙ্গে নৌকা সমর্থকদের বাগবিতণ্ডা হয়। বিকেলে ৫০-৬০ জন নৌকার সমর্থক অতর্কিত হামলা চালিয়ে জহুরুলদের মোটরসাইকেলের কার্যালয়, দোকান ও বাড়ি-ঘর ভাংঙচুর করে।

এ সময় সবুজ মিয়া, জহুরুল ও জাহানারাকে মারধর করে নৌকার সমর্থকরা। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলের প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবু ও তার সমর্থকরা ওই এলাকায় গিয়ে সড়কে মোটরসাইকেল রেখে ঘটনাস্থলে গেলে নৌকার সমর্থকরা সড়কে রেখে যাওয়া ৮টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে।

Advertisement

আহত সবুজ ও জহুরুল মিয়ার অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী হাজী মোশারফের ভাই রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকার উপস্থিতিতে তাদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

পরে এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে নৌকার তিন সমর্থক কালাকুমা প্রামের ফরহাদ আলী, কুদরত আলী ও হাফিজুর রহমান মারধরে আহত হন। পরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে কালাকুমার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মোকছেদুর রহমান লেবুর সমর্থকরা তারাগঞ্জ উত্তর বাজার কার্যালয়ে সমবেত হয়। ওই শহীদ মিনার চত্বরে রাখা নৌকার প্রচারণার একটি মাইক্রোবাস ধাওয়া করে লেবুর সমর্থকরা। একপর্যায়ে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও দ্রুত শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে ইউএনও আরিফুর রহমান, এএসপি জাহাঙ্গীর আলম ও ওসি আবুল খায়েরসহ পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত হলে পরিবেশে স্বাভাবিক হয়।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, আমরা মোটরসাইকেলের কার্যালয় ও বাড়িঘর ভাঙচুর করিনি, কাউকে মারধরও করিনি। মোটরসাইকেলের কর্মী-সমর্থকরাই আমাদের নৌকার সমর্থকদের মারধর ও চারটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করেছে।

Advertisement

নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, কালাকুমা ও পৌর শহরের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

ইউএনও আরিফুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে কালাকুমায় মোটরসাইকেলের পক্ষের ৮টি ও শহরে নৌকার পক্ষের ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হাকিম বাবুল/আরএআর/এমএস