দেশজুড়ে

নিউজিল্যান্ডেই সমাহিত ড. আব্দুস সামাদ

পরিবার থেকে দাবি করা হলেও শেষ পর্যন্ত নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চেই ড. আব্দুস সামাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে জুম্মার নামাজের পর ড. সামাদসহ নিহত ৪০ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নিহতের পরিবারের লোকজনসহ হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেয়।

Advertisement

এছাড়াও রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক জানাতে দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ঢাকায় বসবাসরত ড. আব্দুস সামাদের বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ শুক্রবার মুঠোফোনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এর আগে নিউজিল্যান্ডে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এবং বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৪টায় কোনো প্রকার ছবি উঠানো এবং ভিডিও না করার শর্তে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। সেখানে গোসল করানো ও দোয়া শেষে পুনরায় লাশ নিজেদের জিম্মায় নেয় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরদিন শুক্রবার সেদেশে জুম্মার নামাজের পরে জানাজা শেষে দুপুর ২টায় বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তিনিসহ নিহতদের লাশ দাফন করা হয়। নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত তার মা কেশোয়ারা সুলতানা ও ছোট দুইভাই তারেক, তানভিরের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানান।

এর আগে গত ১৬ মার্চ তার বাবার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ডাকলেও শেষ পর্যন্ত লাশ দেয়নি।

Advertisement

উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বেলা দেড়টায় ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে ‘মসজিদে নুর’ ও ‘লিংউড’ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ব্রেন্টন টারান্ট। এতে অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিহত হন নিউজিল্যান্ডে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে ‘মসজিদে নুর’-এর মোয়াজ্জিন ড. আব্দুস সামাদ। এদিন নিহত মুসুল্লিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়। শোক পালনে হ্যাগলি পার্কে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। দেশটির রেডিও ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় শুক্রবারের জুম্মার নামাজ। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় দুই মিনিট নিরবতা।

নাজমুল/এমএএস/পিআর