দেশজুড়ে

এ বছরেই চালু হবে ‘তিনবিঘা এক্সপ্রেস’ : রেলপথমন্ত্রী

লালমনিরহাটের বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা রুট দিয়ে চারদেশীয় বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরিদর্শনের এসে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এ রুট দিয়ে চারদেশীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।

Advertisement

১৯৬৫ সালের পর ভারতের সঙ্গে বন্ধ হওয়া সব ট্রেনের সংযোগ চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এ বছরের শেষের দিকে 'তিনবিঘা এক্সপ্রেস' চালু করা হবে।

শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলপথ পরিদর্শন শেষে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের রেলপথ ব্রডগেজ। তাই ভারতের সঙ্গে রেলপথের যোগাযোগের জন্য বুড়িমারী থেকে কাউনিয়া ডুয়েল ব্রডগেজ লাইনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। ভারতের সঙ্গে ৪টি রুটে ট্রেন যোগাযোগ চালু হয়েছে। বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা রুটে রেল যোগাযোগ চালু হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বুড়িমারী স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্ব পাবে।

Advertisement

বুড়িমারী জিরো লাইনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বুড়িমারী-চ্যাংরাবান্ধা রুট চালু হলে তিন দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দ্রুত ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারবেন।

তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এক সময় রেলওয়েতে যৌবন ছিল, কিন্তু বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ১৯৯১ সালে রেলওয়ের ১০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চাকরিচুত্য করেছেন। তখন তারা রেলওয়ের কোনো উন্নয়ন করেনি।

তিনি বলেন, জাইকার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে খুব শিগগিরই পৃথক যমুনা রেলসেতু ও লালমনিরহাট রেল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এটা হলে রেলপথে পণ্য বা যাত্রী পরিবহনে ঝুঁকি থাকবে না।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী, রেলপথের মহাপরিচালক খন্দকার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক ও পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এর আগে রেলমন্ত্রী দুইদিনের সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে করে লালমনিরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছান। এরপর লালমনিরহাট সার্কিট হাউজে বিশ্রাম শেষে একটি শাটল ট্রেনে করে বুড়িমারী স্থলবন্দর রেল স্টেশনে আসেন। এরপর বুড়িমারী জিরো লাইন পরিদর্শন করে পুনরায় শার্টল ট্রেনে করে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা করেন।

রবিউল হাসান/এমএএস/পিআর