আইন-আদালত

পাউবোর দুই ইঞ্জিনিয়ারকে হাইকোর্টে তলব

সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা মতো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বরগুনা এবং পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে (ইঞ্জিনিয়ার) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম এবং পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামীকর আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।এক আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিটের শুনানি নিয়ে গত ১১ মার্চ আদালত ঘূর্ণিঝড় সিডর ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তো জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের বিষয়ে জরিপ করে প্রতিবেদন দিতে বলেন।মনজিল মোরেসদ সাংবাদিকদের জানন, আদালতের নির্দেশ মত প্রতিবেদন দাখিল না করা এবং পটুয়াখালী ও বরগুনার প্রকৌশলির একই রকম প্রতিবেদনে কোন তথ্য না থাকায় বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।তিনি বলেন, পটুয়াখালী ও বরগুনার প্রকৌশলীর দেয়া দুটি প্রতিবেদনে একই ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যা এমন ধারণা দেয় যে, তারা প্রকৃতপক্ষে জরিপ করে প্রতিবেদন দেননি। যেটা আদালতের নির্দেশ অমান্যের শামিল। আদালতের নির্দেশ মত প্রতিবেদন দাখিল না করায় এবং পটুয়াখালী ও বরগুনার প্রকৌশলী একই রকম প্রতিবেদনে কোন তথ্য না থাকায় বিষয়টি আদালতের নজরে আনাহয়। এরপর আদালত তাদের প্রতিবেদন গ্রহণ না করে উক্ত তলবের আদেশ দেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সিডর এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় আইলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরগুনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামত না করায় হাজার হাজার মানুষ লবণাক্ত পানির মধ্যে বাস করতে হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে ২ মার্চ হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।এফএইচ/এএইচ/আরআইপি

Advertisement