বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এটি নাইটিঙ্গেলের দিকে এগিয়ে স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদূর গিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
এতে আরও বলা হয়, মিছিল শেষে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অ্যাডভোকেট নিপুন রায়ের উপস্থাপনায় বিএনপির রুহুল কবির রিজভী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন।
রিজভী বলেন, দেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি আর চলতে দেয়া যায় না। স্বৈরশাসনের কষাঘাতে জনগণের মনে বিষাদঘন অবস্থা বিরাজমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে দস্যুবৃত্তির পন্থায়। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থতাকে গুরুতর করার যাবতীয় ব্যবস্থা করছে সরকার। বেগম জিয়া যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই প্রহর গুনছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ‘৭৫ এর হুবহু বাকশাল পূণঃপ্রর্বতনের অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এক ভয়াবহ অশনি সংকেত।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র হত্যাই আওয়ামী লীগের আদর্শ। ক্ষমতায় এসে তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে জনগণকে বারবার ক্রীতদাস বানিয়েছে। বাকশাল সেই ক্রীতদাস বানানোরই ব্যবস্থা। গণতন্ত্র যাতে পুনরুজ্জীবিত হতে না পারে সেজন্য বেগম জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের কারাগারগুলো এখন শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কয়েদখানাতে পরিণত হয়েছে, যেখানে তিনি তার খেয়াল-খুশী মতো বিরোধী রাজনীতিবিদদেরকে বন্দি রাখতে পারেন। এই নব্য বাকশালের বিরদ্ধে এখন সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নইলে দেশে ঘন অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে।
এ সময় সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
মিছিলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর সরকারসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
Advertisement
কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস