জাতীয়

শিক্ষার্থী আবরারের নিহতের রহস্য উদঘাটনে ডিবি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় সু-প্রভাত বাসের চালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটির তদন্তের ভার গ্রহণ করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

Advertisement

উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মশিউর রহমান শুক্রবার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহতের মামলাটি তদন্তের জন্য আমরা পেয়েছি। আবরারের নিহত হওয়ার পেছনে কি কারণ বা কারা জড়িত রয়েছে তার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলার আসামি সু-প্রভাত বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম আদালতের নির্দেশে সাত দিনের রিমান্ডে আছে। তাকে ঘটনার বিষয় ও পলাতক আসামিদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

এ বিষয়ে মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে হস্তান্তর করেছি। এখন থেকে মামলাটির তদন্ত করবে ডিবি পুলিশ।’

Advertisement

এর আগে, ২০ এপ্রিল সু-প্রভাত বাসের চালক সিরাজুল ইসলামের (২৪) বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিন গুলশান থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন।

এদিন দিবাগত রাতে নিহত আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়- বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তার সহকারী, কন্টাকটার ও মালিককে। মামলার ধারা পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮ (ক)/৩০৪/ ও ১০৯। মামলা নং ৩০।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ‘বাসটির চালক বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে বাড্ডার দিকে থেকে প্রগতি সরণি রোড দিয়ে কুড়িলের দিকে যাওয়ার পথে গুলশান থানাধীন শাহাজাদপুরের বাঁশতলায় পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) চাপা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আবারও বেপরোয়াভাবে দ্রুতগতিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গাড়ি চালিয়ে গুলশান থানাধীন নর্দা আইকন টাওয়ারের সামনে প্রগতি সরণির পাকা রাস্তার ওপর জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় আমার ছেলে আবরার আহাম্মেদ চৌধুরীকে চাপা দিয়ে বাস তার মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে যায়। ফলে তার মাথা থেতলে মগজ বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।’

Advertisement

২০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

জেএ/এমআরএম/এমএস