খেলাধুলা

ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির ‘হ্যাটট্রিক’ বিজয়ের

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে চলতি মৌসুমে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি করলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে করা এ সেঞ্চুরিটি চলতি লিগে বিজয়ের টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি।

Advertisement

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর চতুর্থ রাউন্ডে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে তিন অঙ্কের দেখা পান ২৬ বছর বয়সী বিজয়। আজ (শুক্রবার) টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি করলেন আবাহনীর বিপক্ষে।

রুপগঞ্জের বিপক্ষে বিজয় অপরাজিত থাকেন ঠিক ১০০ রান করে, শেখ জামালের বিপক্ষে তিনি থামেন ১০১ রান করে। নিজের ‘হ্যাটট্রিক’ সেঞ্চুরির দিন বিজয়ের রানসংখ্যা ১০২। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরিটিকে বড় করতে পারেননি উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান।

লিগের প্রথম চার রাউন্ডে অপরাজিত থাকা আবাহনী নিজেদের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং এনামুল হক বিজয়।

Advertisement

মাত্র ৯ ওভারে ৫০ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। ইনিংসের ১০ম ওভারের প্রথম বলে আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের শিকারে পরিণত হন জাকির। একটি করে চার-ছক্কার মারে ২৫ বলে ১৮ রান করেন তিনি।

আগের ম্যাচের মতো পুনরায় বড় জুটি গড়েন এনামুল বিজয় এবং অভিমান্যু ইশ্বর। শেখ জামালের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৪ রান যোগ করেছিলেন এ দুজন। সেঞ্চুরিও করেছিলেন দুজনই আবাহনীর বিপক্ষে দুজনের জুটিতে আসে ১৫৪ রান।

সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮৫ রানে আউট হন অভিমান্যু। দলীয় ২০৪ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৯৬ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে নিজের ইনিংস সাজান এ ভারতীয় ক্রিকেটার। অভিমান্যু ফিরে গেলেও নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি বিজয়।

মুখোমুখি ১১৪তম বলে নার্ভাস নাইন্টিতে প্রবেশ করেন বিজয়। কিন্তু পরের ১০ বলে করতে পারেন মাত্র ৪ রান। সেঞ্চুরির অপেক্ষা আর সহ্য হচ্ছিল না বিধায় সানজামুল ইসলামকে বিশাল এক ছক্কার মারেই চলতি আসরে সেঞ্চুরির ‘হ্যাটট্রিক’ পূরণ করেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক। ১২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে শতরান করেন তিনি।

Advertisement

তবে সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি তার। নাজমুল ইসলাম অপুর করা ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন বিজয়। থেমে যায় তার ১২৮ বলে খেলা ১০২ রানের ইনিংসটি।

বিজয়ের সেঞ্চুরির পর ঝড় তোলেন আরিফুল হক এবং অলক কাপালি। আগের ম্যাচে মাত্র ৩২ বলে ৬৭ রান করা আরিফুল এ ম্যাচে খেলেছেন ৭ চারের মারে ২৭ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস। একটি করে চার-ছক্কার মারে ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিও খেলেছেন কাপালি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০২ রানে থেমেছে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। 

এসএএস/এমএস