চোটের কারণে অনেকটা দিন মাঠের বাইরে। সামনে বিশ্বকাপ। স্বস্তির খবর হলো, সাকিব আল হাসান অনুশীলনে ফিরেছেন। ব্যাট-বলের প্র্যাকটিস করছেন বেশ কয়েকদিন হলো। ফিটনেস ফিরে পাওয়া সাকিবকে তাই আইপিএলে খেলতে দিতে চায় বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান আকরাম খান জানালেন তেমনটাই।
Advertisement
২৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। সাকিবের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম ম্যাচ ২৪ মার্চ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই খেলতে পারবেন বলে মনে করছেন আকরাম।
এই বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান বলেন, ‘আইপিএলেরটা আমি জানি না। তবে অবশ্যই শুরু হওয়ার আগে তো যাবেই। ডাক্তারের যেই পরামর্শ ছিল ২০ তারিখ পর্যন্ত খেলতে পারবে না, ইদানীং তো প্র্যাকটিস করছে সে। আমার মনে হয় ওর ফিটনেসটা... গত সাত দিন প্র্যাকটিস করেছে, ব্যাটিং বোলিংও করেছে। আজকে তো ডেটটা হয়ে গেছে। তাই এখন সে ফিট।’
বিসিবি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) কি দিয়েছে সাকিবকে? আকরামের জবাব, ‘ওর তো অলরেডি এটা দেয়াই আছে ক্রিকেট বোর্ড থেকে। সে আইপিএল খেলবে এটা তো জানাই আছে। আমরা তো ওর ইনজুরিতে কোনদিন খুশি হতে পারি না। এখন যেহেতু সে খেলছে... আমাদের মাথায় সবসময় থাকে হি ইজ ভেরি ইম্পরট্যান্ট ফর বাংলাদেশ ক্রিকেট। সে আইপিএলে গিয়ে আবার যেন ইনজুরিতে না পড়ে সেদিকে আমাদের কনসার্ন থাকবে। যতটুক পারে রিস্ক কম নিলে ওর জন্য ভালো হবে।’
Advertisement
কম ঝুঁকি নেয়া মানে কম ম্যাচ খেলা। আইপিএলের মতো বড় আসরে সেটা কি আদৌ সম্ভব? আকরাম মনে করছেন, কি করতে হবে সেটা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ভালোই আছে সাকিবের।
সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজনকে কম ম্যাচ খেলার দিক নির্দেশনা দিয়ে পাঠানোর প্রয়োজন আছে বলেন মনে করেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘না, আমরা এমন কিছু চিন্তা করি নি। ওর সাথেও আলাপ করব যাওয়ার আগে, যাতে ফিটনেস নিয়ে রিস্ক না নেয়। ফিট না হলে খেলবে না এইসব যেন বলে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। আমি সিউর সে নিজেরটা নিজে খুব ভালো বুঝে। সে নিজে খুবই কেয়ার করছে, এক মাস দেখলাম। লম্বা একটা ক্যারিয়ারে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই। রিসেন্টলি কিছু ব্যথা পেয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রিকভারি করার, সেটা হচ্ছে।’
এমএমআর/পিআর
Advertisement