ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ও তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বগুড়া থেকে তিস্তা ব্যারাজ পর্যন্ত রোড মার্চ শুরু হয়েছে।
Advertisement
বুধবার দুপুরে বগুড়া শহরের সাতমাথা চত্বর থেকে দুই দিনব্যাপী রোড মার্চের উদ্বোধন করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।
রোড মার্চ উপলক্ষে বাসসের বগুড়া জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টুর সভাপতিত্বে শহরের সাতমাথায় উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন ও সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ প্রমুখ।
Advertisement
উদ্বোধনী সমাবেশে বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি নায্য হিস্যা আমাদের অধিকার। কিন্তু ভারত তাদের দেশে নদীগুলোতে একের পর এক বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা আর একটি ভয়াবহ পরিকল্পনা করেছে আন্তঃনদী সংযোগের নামে। ৩৭টি নদীর পানি খালের মাধ্যমে তারা উত্তর ভারত ও মধ্যপ্রদেশের মরুভূমিতে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তাদের চক্রান্ত। আমাদের বঞ্চিত করে তারা এসব করলেও কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের বাঁচা মুশকিল হয়ে পড়বে। এ কারণে নদীকে বাঁচানো এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাসদ রোড মার্চের উদ্যোগ নিয়েছে। সমাবেশে থেকে তিনি এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বগুড়া শহর প্রদক্ষিণ শেষে রোড মার্চ নিয়ে তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। বগুড়া জেলা বাসদ ২০ ও ২১ মার্চ এই রোড মার্চের আয়োজন করেছে।
বগুড়া জেলার বাসদ নেতা সাইফুজ্জামান টুটুল বলেন, রোড মার্চ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থানগড়, মোকামতলা, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি, পীরগঞ্জ, শঠীবাড়ী, মিঠাপুকুরে সমাবেশ করে রংপুরে রাতযাপন করবে। ২১ মার্চ সকাল ১০টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, পাগলাপীর, বড়ভিটা, জলাঢাকা, চাপানীরহাটে পথসভা শেষে তিস্তা ব্যারাজ সাধুর বাজার গিয়ে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
লিমন বাসার/এএম/পিআর
Advertisement