জাতীয়

ভোটের হার কমছেই

উপজেলা নির্বাচনগুলোতে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভোটারের অনুপস্থিতিতে তার প্রমাণ মেলে। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়ে ৪১ শতাংশ। প্রথম ধাপে পড়েছিল ৪৩.৩২ শতাংশ।

Advertisement

২০১৪ সালে সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০০৯ সালে একদিনে সারাদেশে ভোট হয়। তখনও ভোটের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ৪১.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে ৭৯.৬৭ শতাংশ; সর্বনিম্ন ভোটের হার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ৮.৬৩ শতাংশ।

গত সোমবার দ্বিতীয় ধাপে ১৫ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোট হয়। বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের কারণে এই নির্বাচন জৌলুসহীন বলে মন্তব্য এসেছে একজন নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকেই। আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহী ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের মধ্যেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।

Advertisement

ইসি সূত্র জানায়, প্রথমধাপে চেয়ারম্যান পদে গড় ভোট পড়ে ৪৩.৩২ শতাংশ। এ ধাপে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সর্বনিম্ন ১৩.১৯ শতাংশ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় সর্বোচ্চ ৭১. ১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতি রয়েছে এবার উপজেলা ভোটে।

দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৭৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন; এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ২৩ জন। এ ধাপে জাতীয় পার্টির ২ ও স্বতন্ত্র ৩৮ প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রথমধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের; এরমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৬ জন। স্বতন্ত্র ২৩।

প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপ ১০ মার্চ ও দ্বিতীয় ধাপে ভোট ১৮ মার্চ ভোট হয় হয়। তৃতীয় ধাপে ভোট ২৪ মার্চ; চতুর্থ ধাপে ভোট ৩১ মার্চ; পঞ্চম ও শেষ ধাপে ভোট হবে ১৮ জুন।

Advertisement

দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হলেন যারা

এইচএস/জেএইচ/পিআর