নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় পুরো বিশ্ব শোক ও নিন্দা জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে ডানপন্থী উগ্র মতাদর্শকে সমূলে উপড়ে ফেলারও ডাক দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এ হামলার ঘটনায় দায়সারা শোক জানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত।
Advertisement
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ব্যারান্ট। তার ওই হামলায় ৫০ মুসল্লির প্রাণহানি ঘটে। আধুনিক নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে মসজিদে হামলার এই ঘটনাকে কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।
মসজিদে নৃশংস এই হামলার খবর প্রকাশ হতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেন। ভারতও এই হামলার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ক্রাইস্টচার্চের উপাসনালয়ে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন : শুক্রবারের আজান সম্প্রচার করবে নিউজিল্যান্ডের রেডিও ও টেলিভিশন
Advertisement
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিন্দা জানানোর এই বিবৃতি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলেও মোদির বিবৃতিতে ‘মুসলিম’ কিংবা ‘মসজিদ’ শব্দ দুটির কোনো উল্লেখ নেই। যদিও অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ব্যারান্ট মসজিদের ভেতরে ঢুকে একেবারে কাছ থেকে মুসল্লিদের গুলি করে হত্যা করে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই নিন্দা জানানোর ভাষার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, হামলার নিন্দা জানানোর বিবৃতিতে নয়াদিল্লি ‘মুসলিম’ কিংবা ‘মসজিদ’ শব্দ দুটি ব্যবহারের সাহস দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, আল্লাহ না করুক, যদি ভারতের কোনো মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে পাকিস্তান ভারতের পাশে দাঁড়াবে।
সূত্র : ডন।
এসআইএস/এমএস
Advertisement