জাতীয়

২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত

২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

বুধবার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিইউপির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদুজ্জামান।তাওহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের যেসব দাবি ছিল সেগুলো সময় সাপেক্ষে মেয়র মেনে নিয়েছেন। যে তিনটি দাবি ফোকাসিং ছিল তার মধ্যে রয়েছে, আইন প্রক্রিয়ার মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব (সর্বোচ্চ ৩০ দিন) আবরারের দুর্ঘটনার চার্জশিট দাখিল করতে হবে, পাশাপাশি আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সু-প্রভাত এবং জাবালে নূর বাসের সমস্ত রুট পারমিট বাতিল করতে হবে। জেব্রা ক্রসিং, বাস স্টপেজ ও ফুটওভার ব্রিজ যেখানে দরকার সেখানে তা নিশ্চিতের জন্য ৭ দিনের মধ্যে পরিকল্পনা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্য দাবিগুলো সময় সাপেক্ষে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিশ্রুতির শর্তে আমরা ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগতি করেছি। ২৮ মার্চ আবার আমরা মেয়রের সঙ্গে বসবো এবং কাজের অগ্রগতি জানবো। কাজের অগ্রগতি দেখে যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে ২৮ মার্চ থেকে আবারও আমরা আন্দোলনে যাবো। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই।

এর আগে বেলা ২টায় মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিইউপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

Advertisement

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারীসহ পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন।

পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এএস/জেএইচ/পিআর

Advertisement