‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি চাপায় মরে সে। উই ওয়ান্ট জাস্টিজ। আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।’ রামপুরা-বাড্ডা সড়ক অবরোধ করে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এসব স্লোগান দিচ্ছেন। রামপুরা ব্রিজের কাছ থেকে মেরুল বাড্ডা পর্যন্ত অবরোধ করে বসে আছেন তারা। এ রাস্তায় কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।
Advertisement
অবরোধে দুই প্রান্তে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়েছে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তাদেরই একজন রামপুরার গোলাম নবী সবুর। তিনি ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘এসব দুর্ঘটনার কারণে আমরা অভিভাবকরা আতঙ্কিত। আমার ছেলে-মেয়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়। আবরারের মতো কে কখন দুর্ঘটনার কবলে পড়বে তা বলা মুশকিল।’
মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সাবেক সাংবাদিক শামীম চৌধুরী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এ দুর্ঘটনার প্রতিবাদে একজন ‘মা’ হিসেবে সব মাকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন।
Advertisement
সকাল থেকে ফের দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পর্যায় ক্রমে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঘাতক বাসের চালক সিরাজুল ইসলামের (২৪) বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গুলশান থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম বুধবার বেলা পৌনে ৩টার পর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আদালত শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গুলশান থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
Advertisement
এফএইচএস/এসআর/পিআর