চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ আরমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
Advertisement
বুধবার (২০ মার্চ) তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম।
গ্রেফতার আরমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার আরেক আসমি ও চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর ছোট ভাই।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজ বাসা থেকে ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর তিনদিন পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পুলিশ।
Advertisement
তবে দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বলে অভিযোগ করে আসছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ১০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
দিয়াজ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ আরমান (মাঝে) এবং তার বড় ভাই এই মামালার প্রধান আসামি চবি ছাত্রলীগের সে সময়ের সভাপতি আলমগীর টিপু (বামে)
সেই মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সে সময়ের সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা আবুল মনসুর জামসেদ এবং তাদের অনুসারী রাশেদুল আলম জিসান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান।
অভিযুক্ত আসামিদের সকলেই চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। দিয়াজ ইরফানও একই নেতার অনুসারী ছিলেন।
Advertisement
এমবিআর/এমএস