নিরাপদ সড়কের দাবি পূরণে আশ্বাস দিলেও তাতে বিশ্বাস পাচ্ছেন না আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের কথা, এর আগেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারপরও চালকদের বেপরোয়া গতি কমেনি। জাবালে নূরের রোড পারমিট বাতিলের কথা বলা হলেও তা করা হয়নি।
Advertisement
তাসনুভা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আর কত আবরার প্রাণ হারালে প্রশাসনের টনক নড়বে? শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে সবাই দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু আর কত আশ্বাসে থাকতে হবে? আমরা আশ্বাস নয় সমাধান চাই।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, সু-প্রভাত গাড়ির রোড পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হবে। তবে একটু সময় লাগবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মূল ফটকের সামনে যান চলাচল বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ক্লাস বর্জন করে নিজ নিজ ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলনে শরিক হতে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তারা।
Advertisement
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার রাজাধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মূল ফটকের সামনে জেব্রা ক্রসিংয়ে বাস চাপায় প্রাণ হারায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাস দুটি জব্দ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এক চালককে। বাসটির রেজিস্ট্রেশনও সাময়িকভাবে বাতিল করে বিআরটিএ।
ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের দিনভর সড়ক অবরোধ করার ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তাল সড়কের দুপাশে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়কে অবস্থান ছাড়বে না বলে ঘোষণা দেন।
আন্দোলনের ফলে আটকে পড়া সু-প্রভাত পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিলে শিক্ষার্থীরা তা নিভিয়ে ফেলেন। এ সময় বাসে আগুন দেয়ার অভিযোগে এক বাসচালককে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গত জুলাইয়ে রাজধানীর রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
Advertisement
কেএইচ/এএইচ/এমএস