বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আববারের রক্তে প্রমাণিত হলো দেশে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থায় ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
Advertisement
তিনি বলেন, সরকার ছাত্রদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্য যে কথা দিয়েছিল, তারা সেই কথা রাখে নাই। সেজন্যই নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে ছেলেটি রাস্তায় নেমেছিল, তাকে জীবন দিতে হলো। আমরা এ আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং সরকারকে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ভবনের তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিলম্বে সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে’ প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, এ সরকার জনগণের সরকার নয়। ফ্যাসিবাদী সরকার, তাই তারা যা বলে তা করে না। আর এ জন্যই সড়কে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে। ডাকসু নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে। অস্বাভাবিক সরকারের আমলে অস্বাভাবিক ঘটনা অতি স্বাভাবিক। তবে এ অস্বাভাবিক ঘটনা বেশিদিন চলতে পারে না।
Advertisement
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুচিকিৎসার জন্য হলেও বেগম জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন। তার মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলকে আরও শক্তিশালী করে লড়াইয়ে নামতে হবে। এ লড়াই শুধু খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য নয়। এ লড়াই হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার লড়াই।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে প্রগতি সরণিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের সামনে বাসচাপায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী। এরপরই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীা। গতকাল দিনভর বসুন্ধরা গেটের সামনে অবস্থান করে বিকেলের দিকে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এরপর আজ সকাল থেকে তারা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন। পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, উত্তরাতেও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বলে খবর রয়েছে।
কেএইচ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement