জাতীয়

অবশেষে ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া শুরু

দীর্ঘ চার দশক পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া আজ (বুধবার) শুরু হয়েছে। বিকেলে বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ) নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রথম ভাগ্যবান ২৫ জন ক্যাজুয়েল শ্রমিকের হাতে এ সংক্রান্ত চিঠি তুলে দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন) ড. পার্থ কুমার পণ্ডিত। বিমানের জনসংযোগ বিভাগের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

বিমানের মুখপাত্র ও জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে স্থায়ী করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক সব করবে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি তিনি।

জানা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে পরিচালনা পর্ষদে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হয়। কথা ছিল নির্বাচন পরবর্তী প্রথম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

পরবর্তীতে বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত তিন মাস এই নিয়ে কেউ মুখ খোলেনি। গত মাসে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর দুটি বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হলেও, ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়নি। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আগের সিদ্ধান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার খবর পাওয়া যায়। স্থায়ীকরণের পর শ্রমিকদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে, সেজন্য তিন সদস্যের একটি সাব কমিটিও গঠন করা হয়।

বিমানের কার্গো সার্ভিস, ট্রাফিক বিভাগ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, গ্রাউন্ড সার্ভিস, মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগে ক্যাজুয়াল শ্রমিক বেশি। বিমানে প্রায় দুই হাজার ২০০ ক্যাজুয়াল শ্রমিক আছে। এর মধ্যে ৭০০ জন ১০ দিনের মেয়াদে চুক্তিতে নিয়োগ পান। বাকিরা ৮৯ দিনের চুক্তিতে কাজ করছেন যুগের পর যুগ।

আরএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

Advertisement