গাইবান্ধা জেলার অন্যান্য নদীর পানি কমতে শুরু করলেও করতোয়া নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার বন্যা কবলিত ৭টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়নের ৩৩০টি গ্রামের ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ মানুষ এখনো দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি, টয়লেটের সমস্যা এবং গো-খাদ্য সংকট এখনো বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে রয়েছে। বন্যার পানিতে পুকুর উপচে পড়ায় মাছ চাষিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এদিকে বন্যার পানি কিছুটা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে গোবিন্দপুর গ্রামে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি, বসতবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত পাঁচদিনে এই গ্রামের সাড়ে ৪শ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, আকস্মিক এ বন্যায় প্রায় ৩৮ হাজার ৬শ৮৬ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, আউশ ও আমন ধান এবং সবজি ক্ষেত, পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতর জানায়, বন্যায় এ পর্যন্ত ২৭ কি.মি. কাঁচা সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৪ কি. মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২শ মিটার বাঁধ ইতোমধ্যে নদীর পানির তোড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ২শ ১৮ মে. টন চাল ও ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও জরুরি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পের মাধ্যমে বন্যা দুর্গত এলাকার পানিবন্দি মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। অমিত দাশ/এসএস/পিআর
Advertisement