ক্যাম্পাস

যবিপ্রবির শেখ হাসিনা হলে বিক্ষোভ, ভাঙচুর

হলের মিলচার্জ নিয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অন্তত ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। শনিবার রাত ৯টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরুর পর রাত ১টার পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে গেছে। যবিপ্রবি ছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রীনিবাস শেখ হাসিনা হলের খবারের মূল্য বাবদ (মিল চার্জ) প্রতি মাসে ৫শ টাকা পরিশোধ করেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে। এর পর ঈদের ছুটি। কিন্তু ওই মাসেরও পুরো মিলচার্জ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আর ক্যান্টিন থেকে খাবারের বাটি খোয়া গেলে তাদের জরিমানা করা হয়। এর প্রতিবাদে তারা আন্দোলন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, শনিবার রাতে হঠাৎ করেই ছাত্রীরা বিক্ষোভের পর প্রাধ্যক্ষের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। পরে খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষক সেখানে গেলে তাদের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর রাত ১টার দিকে প্রাধ্যক্ষ নিগারিন সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার সেখানে যান। এরপর ছাত্রীরা হলে ফিরে যায়। সূত্র আরো জানায়, ক্যান্টিন থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই খাবারের বাটি খোয়া যাচ্ছিল। সম্প্রতি এক ছাত্রীর কক্ষ থেকে ১৮টি বাটি উদ্ধারের পর ওই জরিমানা করা হয়।  এদিকে, মধ্যরাতে ছাত্রী বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রীরা মধ্যরাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তারা শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও প্রাধ্যক্ষের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাদের দাবির বিষয়ে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান না হলে ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে পারতো। তানা হলে স্মারকলিপি দিতে পারতো বা সর্বশেষ উপাচার্যের কাছে যেতে পারতো। কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক এসব কোনো পথে না গিয়ে তারা মধ্যরাতে অরাজকতা করেছে। তাই এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। মিলন রহমান/এসএস/আরআইপি

Advertisement