আন্তর্জাতিক

চাচা-ভাতিজা মিলে ভাইয়ের মেয়েকে গণধর্ষণের পর শিরশ্ছেদ

চাচা এবং ভাতিজা মিলে ভাইয়ের মেয়েকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে। মানুষ কতটা পাশবিক হলে এমনটা করতে পারে? এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। নিজের চাচা এবং চাচাত ভাইদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী। ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। কিশোরীর মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে মাঠে ফেলে দেয়া হয়েছিল।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের ওই কিশোরীর চাচা এবং চাচাত ভাইরা মিলে গত ১৪ মার্চ তাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ ও হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ওই একই দিনে গ্রামের বাইরের দিকে একটি মাঠে মুন্ডহীন অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। ১৩ মার্চ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পথে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। তার পরিবার সন্ধান শুরু করে। পরে কিশোরীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন।

কিশোরীর চাচাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ওই একই গ্রামে বসবাসকারী ছোটে প্যাটেল নামের একজন এই খুন করেছেন। প্যাটেল ও তাদের পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদের ঘটনার কারণে এমনটা ঘটে থাকতে পারে বলে কিশোরীর চাচা পুলিশকে জানান। তারা মামলার তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে ভিন্ন পথে চালিত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা অমিত সাংহী। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, পোস্টমর্টেম ও মেডিকেল রিপোর্টে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সব প্রমাণ সংগ্রহ করে পরিবারের সদস্যদের বিবৃতি রেকর্ড করেছেন। যখন সবকিছু নিয়ে একসঙ্গে আমরা মেলাতে থাকি তখনি পরিষ্কার হয় যে, মেয়েটির চাচাত ভাই ও তার চাচাই তাকে ধর্ষণ ও খুন করেছে। আমরা তার চাচা এবং চাচাত ভাইদের একজনকে গ্রেফতার করেছি। রক্তাক্ত কাপড় এবং খুনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি কাস্তেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করে ওই পুলিশ জানায়, স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে মেয়েটি যখন বাড়ি ফিরছিল তখনই তার এক চাচাত ভাই তাকে চাচার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তিনজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে এবং মেয়েটি যখন পুলিশের কাছে যাওয়ার হুমকি দেয় তখন তার চাচী তাকে মারধর করে। পরে মেয়েটির মাথা কেটে তার মরদেহ একটি মাঠে ফেলে দেওয়া হয়।

টিটিএন/আরআইপি