অর্থনীতি

শেয়ার কেলেঙ্কারি : সাক্ষী না থাকায় পেছালো শুনানি

সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় ১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্ট ক্লিংকার গ্রাইন্ডিং কোম্পানি লিমিটেডের (বর্তমানে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার শুনানি আগামী ১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) পুন:নির্ধারণ করেছেন বিএসইসি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল।রোববার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে সময় চেয়ে আবেদন করেন। ফলে মামলাটির শুনানির দিন পুন:নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।এর আগে ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আমীরুল ইসলাম চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষীর জেরা ও শুনানি হয়েছে।মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান ও সাবেক পরিচালক শহিদুল হক বুলবুল এবং টি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি আবু তৈয়ব।মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের পরস্পর যোগসাজসে ১৯৯৬সালে প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ার মার্কেটে ভ্যালু ম্যানুপোলেট করে কার্ভ মার্কেটে শেয়ার বেচাকেনা করেন। যার বিপরীতে দুই কোটি ৮২লাখ টাকা বিদেশি হিসাব খাতে চলে যায়। যা ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের লঙ্ঘন।উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় মোট ১৫টি মামলা হয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে চিটাগাং সিমেন্ট অ্যান্ড ক্লিংকার কোম্পানির (বর্তমানে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে রকিবুর রহমান, আবু তৈয়ব ও শহিদুল হক বুলবুলকে আসামি করা হয়। তিনজনই সে সময় কোম্পানিটির পরিচালক ছিলেন।গত জুন মাসে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বিএসইসি স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর ৯৬ সালের মামলাগুলোর মধ্যে চিটাগাং সিমেন্ট কোম্পানি মামলাটি ( নতুন নং ১৯/১৫) নিয়েই প্রথম বিচারিক কাজ শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আমীরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ১৯৯৭সালের ২৭মার্চ সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই পরে বিএসইসি ১৫টি মামলা করে। এসব মামলায় ৩৮জন ব্যক্তি, ৮টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ছয়টি ব্রোকারেজ হাউসকে কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এসআই/এসআইএস/আরআইপি

Advertisement