দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে ছিনিয়ে নেয়া আসামিকে পুলিশে হস্তান্তর

সিরাজগঞ্জে ডিবি পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ২দিন পর এলাকাবাসী ওই আসামিকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। রোববার দুপুরে শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।ওই আসামির নাম তোজাম্মেল হক বকুল (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার সারটিয়া গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে ও একটি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর সারটিয়া আমেনা মনসুর স্কুল মাঠে খেলা চলার সময় আসামি তোজাম্মেলকে ডিবি পুলিশ আটক করে হাতকড়া পড়ায়। তাকে নিয়ে থানার উদ্দ্যেশে রওনা হওয়ার কিছু পরেই তার আত্মীয়-স্বজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও মারপিট করে আসামিকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় একই দিন রাতে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী বাদি হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ছিনিয়ে নেয়া আসামিসহ এর সহযোগীদের আটকের জন্য পুলিশ গত ২দিন এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করে ও আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। এদিকে পুলিশের একাধিক অভিযানে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে ছিনিয়ে নেয়া আসামিকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। রোববার সকালে এলাকা থেকেই তারা আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তোজাম্মেলকে থানায় নিয়ে যায়। আসামি হস্তান্তরের সময় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামাল আকন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন তালুকদার, থানা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন শেখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে শিয়ালকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জামাল আকন্দ জানান, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় দফায় দফায় পুলিশি অভিযানে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ যেনো পুলিশি হয়রানির শিকার না হন এ জন্য এলাকাবাসীই তোজাম্মেলকে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদুজ্জামান জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ গ্রামবাসী আসামি তোজাম্মেল হককে রোববার দুপুরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটককৃত তোজাম্মেলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। বাদল ভৌমিক/এসএস/এমআরআই

Advertisement