দেশজুড়ে

১২ টাকার ইনজেকশন হাজার টাকায় বিক্রি, সেই দোকানদার ধরা

রক্তচাপ কম থাকলে রোগীকে ইফিড্রিন ইনজেকশন পুশ করা হয়। ইনজেশনটির দাম মাত্র ১২ টাকা। অজ্ঞাত কারণে ইনজেকশনটি বরিশালের ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সংকটের সুযোগ নিয়ে এক ফার্মেসি মালিক এক হাজার টাকায় ইনজেকশনটি কিনতে বাধ্য করেছেন রোগীর স্বজনকে।

Advertisement

সোমবার দুপুরে এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফার্মেসি মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। এ দিকে জরিমানার প্রতিবাদে বিকেলে এক ঘণ্টা বরিশাল শের-ই -বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকল ওষুধের দোকান বন্ধ রাখে বিক্রেতারা।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী হলেন, বরিশাল নগরীর ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে মেডিসিন কর্ণারের মালিক মনিরুল ইসলাম।

ইফিড্রিন ইনজেকশনের দামের বিষয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে জেলা প্রশাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ঘটনার শিকার রোগীর স্বজন মো. রুবেল হাওলাদার। এর প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।

Advertisement

রোগীর স্বজন রুবেল হাওলাদার বলেন, চিকিৎসক জরুরিভিত্তিতে ইফিড্রিন ইনজেকশনটি আনতে বলেন। আমি অনেক দোকান ঘুরে কোথাও না পেয়ে মেডিসিন কর্ণার থেকে এক হাজার টাকায় কিনি। এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসককে সবকিছু খুলে বলি। এ সময় চিকিৎসক জানান এ ইনজেকশনের দাম মাত্র ১২ টাকা। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

রুবেল হাওলাদার জানান, মেডিসিন কর্ণারে ইনজেশনটি পাওয়ার পর মালিক মনিরুল ইসলাম এক হাজার টাকা দাম চান। এত দামের কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘নিলে নেন, নইলে চলে যান।’

বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুরে রুবেল হাওলাদার নামে একব্যক্তি তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্ত মেডিসিন কর্ণারে অভিযানে যান। ১২ টাকার ইনজেকশন ১০০০ টাকায় বিক্রি করার কথাও স্বীকার করেন বিক্রেতা। এছাড়া দোকানে বেশ কিছু স্যাম্পল ওষুধ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও পাওয়া যায়। এ কারণে মালিক মনিরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাইফ আমীন/এমএএস/জেআইএম

Advertisement