রাজনীতি

পরিস্থিতি অস্বাভাবিক : মোশাররফ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বেশি দিন টিকবে না।

Advertisement

সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ারের হোসেনে ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খোন্দকার দেলোয়ার স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।

মোশাররফ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ নয়, তারা হতভম্ব। আর কেউ হতভম্ব হলে তা ঠিক হতে একটু সময় লাগে। ইনশাআল্লাহ হতাশা কাটবে।

তিনি বলেন, ভোট ডাকাতির ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি বাংলাদেশে। এটা অবিশ্বাস্য। সেই জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা হতভম্ব। এই হতভম্ব কাটানোর প্রক্রিয়া চলছে। আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্র হত্যা করেছে, সেই গণতন্ত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পুনরুদ্ধার করবে।

Advertisement

মোশাররফ বলেন, আজকের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট কী? সবকিছু অস্বাভাবিক। ৩০ তারিখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৯ তারিখ রাতে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গেছে। এটা কি বাংলাদেশের অতীতে কখনো ঘটেছিল? এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা।

তারপরে বাংলাদেশ আরেকটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটল, সেটা শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা। দলের সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে, জুনিয়রদের নিয়ে একটা মন্ত্রিসভা করলেন। তখন সবাই বলল, এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা না। আরেকটি অস্বাভাবিক ঘটনা হচ্ছে, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে, যা কেউ চিন্তাও করতে পারেনি।

দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার ডাকসু। এই ডাকসুতে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তা অকল্পনীয়। এটা কি? এটা স্বাভাবিক না, অস্বাভাবিক। খুব দ্রুতই বাংলাদেশে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করি, অস্বাভাবিক কিছু দিয়ে যেটা শুরু, তার পরবর্তীকালে সব কিছুই অস্বাভাবিক ঘটতে থাকবে। আর অস্বাভাবিক বিষয় বেশিদিন টিকতে পারবে না, পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করে মোশাররফ বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৪০৬ দিন হল কারাগারে। যদি খন্দকার দেলোয়ার হোসেন জীবিত থাকতেন, তাহলে তিনি দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য তার যত ধরনের অভিজ্ঞতা, সাহসিকতা ও আন্তরিকতা, তা দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করতেন তিনি।

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খোন্দকার দেলোয়ার সন্তান ড. খোন্দকার আকবর হোসেন, অ্যাডভোকেট আখতার হামিদ ডাবলু, ডা. দেলোয়ারা পান্না, ছড়াকার আবু সালেহ, মানিকগঞ্জ বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জামিল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম