তাল, খেজুর, গোলপাতা ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় ফসল বা গাছকে ‘সুগারক্রপ’ (চিনিজাতীয় শস্য) হিসেবে যুক্ত করে ‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৯’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে পুরনো একটি আইন আছে, এটি ১৯৯৬ সালের, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন। এ আইনের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠানটি (বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে বিজ্ঞানীরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, চিনি শুধু আখ থেকে হয় না। আরও অনেকগুলো ক্রপ আছে।’
Advertisement
শফিউল আলম বলেন, নতুন আইনে সুগারক্রপের সংজ্ঞার মধ্যে দেখানো হয়েছে অনেকগুলো ক্রপ। অর্থাৎ সুগারক্রপ অর্থ ইক্ষু, সুগার বিট, তাল, খেজুর, গোলপাতা ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় ফসল বা বৃক্ষ যেগুলো থেকে চিনি হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন যদি আমরা ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট বলি তবে এর কাজ নির্দিষ্ট একটি এরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। শুধু ইক্ষু নিয়ে ডিল করবে। আরও অনেকগুলো শস্য বা ফসল থেকে চিনি তৈরি করা সম্ভব। এজন্য নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট’র পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট’।
আগের আইনটি ১৯৯৬ সালের; নতুন আইনে খুবই সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, এখানে কমিটি যেটা আছে তা আগের মতোই, ওটা আইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে কমিটিতে একজন বাড়তি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিএসআইআর) একজন সেখানে যুক্ত হবেন।
আরএমএম/জেএইচ/পিআর
Advertisement