ফিচার

আমরা ফোনে ‘হ্যালো’ বলি কেন?

বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। চাইলেই বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যে কারো সঙ্গে কথা বলা যায়। চাইলে ভিডিও কল করেও কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে দেখে দেখে কথা বলা যায়। এসব একদিনে তৈরি হয়নি। অনেক সাধনার ফলে আমরা এ সুযোগ পেয়েছি। কথা বলার এ মাধ্যমটি আবিষ্কৃত হয়েছে অনেক আগে। তবে একটি বিষয় প্রায়ই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায়- আমরা ফোনে প্রথমেই কেন ‘হ্যালো’ বলছি? আজ জানার চেষ্টা করবো তার কারণ-

Advertisement

আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে টেলিফোন যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। ১৮৭৬ সালের পর থেকেই যোগাযোগব্যবস্থায় বিপ্লব আসে তার হাত ধরে। মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব কমতে শুরু করে। তিনি ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ কোম্পানি। যার নাম ‘টিঅ্যান্ডটি’।

সে যা-ই হোক, টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার পর তিনি ওই বছর ১০ মার্চ তার বান্ধবী ‘মার্গারেট হ্যালো’কে প্রথম ফোন করেন। তার বান্ধবীকে তিনি যে কথাটি বলেছিলেন, তা ছিল ‘হ্যালো’। তিনি তার বান্ধবীর নাম ধরেই ডেকেছিলেন। এটি ছিল তার সম্বোধন। বলতে পারেন, বিজ্ঞানীর ভালোবাসার ডাক। তবে এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে ফোন ধরে প্রথমে ‘হ্যালো’ বলা শুরু হতে থাকে।

> আরও পড়ুন- মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল কেন সেরা?

Advertisement

এতো গেল ‘হ্যালো’র ইতিহাস। এবার এমন একটি তথ্য জানবেন, যা শুনে সত্যিই অবাক হবেন। এই আবিষ্কর্তা কখনো তার অফিসে টেলিফোন যন্ত্রটি রাখেননি। তিনি শুনতে চাননি, ওপার থেকে কেউ তাকে ‘হ্যালো’ বলুক। অথচ আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে তিনিই বিশ্ববাসীকে ‘হ্যালো’ বলতে শিখিয়েছিলেন।

তিনি কেন অফিসে টেলিফোন রাখতেন না, এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। টেলিফোনের আবিষ্কর্তা হয়েও কেন তিনি অফিসের সময়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘টেলিফোন অফিসে থাকলে বহু মানুষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এতে গবেষণার কাজে অসুবিধা হতে পারে। তাই অফিসে টেলিফোন রাখতে দেইনি।’

অনেকে আবার অন্যরকম দাবিও করছেন। তারা বলছেন, নিজের আবিষ্কারের সুফল এবং কুফল তিনি দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন যন্ত্রটি কাজের হলেও যখন-তখন বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নিজের অফিসে কখনোই টেলিফোন রাখতেন না।

এসইউ/পিআর

Advertisement