জাতীয়

মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে ডা. রাজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারের জামাতা রাজন কর্মকারের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

Advertisement

রোববার (১৭ মার্চ) ভোরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর পর সহকর্মী ও পরিবারের দাবির মুখে ময়নাতদন্তের জন্য এদিন বিকেলে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ডা. রাজন কর্মকারের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি, তবে পরীক্ষার জন্য হার্ট ও ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাওয়া গেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। হার্ট ও ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Advertisement

এদিকে, ডা. রাজনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও সহকর্মীদের দাবির মুখে একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। তবে এ বিষয়ে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী বলেন, একটি অভিযোগ গ্রহণ করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (১৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে রাজনকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাজন বিএসএমএমইউ’র ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার বিএসএমএমইউ’র সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রাজনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রাজনের পরিবারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দাবিটি আমলে নিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

জানা যায়, রাজন কর্মকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের এখলাসপুর। তার বাবার নাম সুনীল কর্মকার।

রাজনের মামা সুমন কর্মকার জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাজনের মরদেহ নেয়া হবে বিএসএমএমইউতে। এরপর নোয়াখালী গ্রামের বাড়িতে সৎকার করা হবে।

জেইউ/এমবিআর/এমকেএইচ