বিশ্বজুড়ে দিন দিন চাকরি হারানো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তার ওপরে বেকারত্বের চাপ তো রয়েছেই। বাংলাদেশে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ। একটি চাকরি চলে গেলে আরেকটি খুঁজে পাওয়া রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার। তাই চাকরি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। পাশাপাশি চাকরি হারানোর আশঙ্কাগুলো জানা দরকার। তাহলে জেনে নিন ৫টি কারণ-
Advertisement
ইনক্রিমেন্ট কম: ইনক্রিমেন্ট বা বার্ষিক বেতন বাড়ার হার যদি ক্রমাগত খারাপ হয়, তবে আপনার অবস্থান মোটেই সুখকর নয়। তাই প্রথমেই নিজের বস বা মানবসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করুন। আপনার পারফরমেন্সের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। জেনে দ্রুত তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
নতুন কিছু শেখা: প্রতিদিন নতুন নতুন কাজের সঙ্গে পরিচিত হোন। কারণ আপনি পিছিয়ে থাকলে, সমস্যা আপনারই। গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে নিজের আগ্রহ প্রতিষ্ঠিত করুন। নিজেকে উৎসাহ দিতে নতুন নতুন কাজের দায়িত্ব নিন। কাজ সম্পর্কে আগ্রহ দেখান। অন্য বিভাগের কাজ সম্পর্কেও জানুন। অন্তত খোঁজ রাখুন।
> আরও পড়ুন- বিনামূল্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে
Advertisement
সম্পর্কের অবনতি: বস কি সবসময় আপনার কাজের সমালোচনা করছেন? সহকর্মীদের সঙ্গে মনোমালিন্য বাড়ছেই? তাহলে প্রথমে সমস্যা চিহ্নিত করুন। আপনার ভুল হলে দায়িত্ব নিয়ে তা শুধরে নিন। যদি বসের সঙ্গে সমস্যা বাড়তে থাকে, তবে আপনার উন্নতিতেও বাধা সৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে বসের বিশ্বাস জয় করাকেও প্রাধান্য দিন।
ছাঁটাই চলছে: প্রতিষ্ঠান নিজেদের ব্যয় কমাতে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। আবার নীতি পরিবর্তন করে কর্মীসংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এ সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখুন। এ ধরনের পরিস্থিতির আগেই অন্যত্র চাকরি খোঁজা শুরু করে দিন।
প্রযুক্তির উন্নতি: ২০২২ সালের মধ্যে চাকরির বাজারে প্রযুক্তির উন্নতি ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ বেসরকারি চাকরিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাবে। ফলে এর কোন নির্দিষ্ট সমাধান নেই। একটাই সমাধান- নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে।
> আরও পড়ুন- স্কীল ডেভেলপমেন্ট বাণিজ্য কি প্রতারণা নয়?
Advertisement
ফলে নিজের সম্মান ও চাকরি বাঁচাতে এখন থেকেই অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে থাকুন। একইসঙ্গে আপনার প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের আপডেট হচ্ছে, তাও নজরে রাখুন।
এসইউ/পিআর