আল্লাহ তাআলা নিজেই তার একত্ববাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। ফেরেশতারাও রয়েছে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষী যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো উপাস্য নেই। আলেমদের ভাষায়ও আল্লাহ ছাড়া কোনো ইবাদতের উপযুক্ত ইলাহ নেই।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা কুরআনে তাওহিদের সাক্ষ্য নির্ধারণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বহু নির্দশন ও ঘটনা নাজিল করেন। অবশেষ আল্লাহ স্বয়ং নিজেই নিজের একত্তবাদের সাক্ষ্য দিলেন। সে সঙ্গে ফেরেশতা ও দ্বীনের অভিজ্ঞ আলেমেদেরও সাক্ষী হিসেবে শামিল করে মর্যাদা বৃদ্ধির ঘোষণাই দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
আয়াতের অনুবাদ
আয়াতের পরিচয় ও নাজিলের কারণ
Advertisement
আল্লাহ তাআলা আগের আয়াতগুলোতে তাওহিদের পরিচয় তুলে ধরেছেন। মানব জাতীর জীবনে আল্লাহর একত্ববাদের একটি বাস্তবরূপ লাভ করা আবশ্যক। তার একত্ববাদের সে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার জন্যই সুরা আল ইমরানের ১৮নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নিজেই একত্ববাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
একত্ববাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপনের বিষয়টি তিনি নিজেই তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া আর কোনো মা’বুদ নেই। শুধু তিনিই এ সাক্ষ্য দেননি বরং ফেরেশতা ও জ্ঞানীরাও এ সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেয়ার পাশাপাশি মানব ও সমগ্র জগতের প্রতি তার নিখুঁত ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের বর্ণনাও তুলে ধরেছেন।
যেহেতু মহান আল্লাহ ঘোষণা দেন যে, তিনিই বিশ্বজগতের একক ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তাই একথা স্বীকার করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের প্রথম দায়িত্ব হলো নিজেকে মহান আল্লাহর সামনে গোলাম বলে স্বীকার করে নেয়া।
Advertisement
আল্লাহর আইনকেই জীবনের সব ব্যাপারে চূড়ান্ত আইন বলে বিশ্বাস স্থাপন করা। মহান প্রভুর পরিপূর্ণ আনুগত্য করা এবং তার কাছেই পরিপূর্ণভাবে আত্মসমার্পন করা।
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা নিজের সাক্ষী নিজে দেয়ার পাশাপাশি ফেরেশতা ও আলেমদের কথা উল্লেখ করে তাদের বিশেষ মর্যাদাও তুলে ধরেছেন। তবে এক্ষেত্রে সে সব আলেমই সম্মান ও মর্যাদা লাভ করবে, যারা কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অভিজ্ঞ।
আরও পড়ুন > কুরআনে বর্ণিত নেককার বান্দার বৈশিষ্ট্য
যেহেতু মহান আল্লাহ নিজেই তাওহিদ তথা একত্ববাদের সাক্ষ্য দিচ্ছেন সুতরাং একত্ববাদে বিশ্বাসী হতে আর কারো সাক্ষ্যের প্রয়োজন নেই। কেননা তিনিই সর্বাপেক্ষা সত্যবাদী ও তার কথাই সত্য।
সমস্ত সৃষ্টজীব শুধুমাত্র তারই দাস। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। ইবাদতের উপযুক্ত উপাস্য হওয়ার ব্যাপারে তার কোনো অংশীদারও নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে একত্ববাদের বিশ্বাসে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ