বুধবার নেপালের বিরাটনগরে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষই বলছে বেজে গেছে বাংলাদেশের বিদায়ঘন্টা। প্রতিদ্বন্দ্বীতাটা দুই দেশের মেয়েদের জাতীয় দলের বলেই ভারত পরিস্কার ফেভারিট। বড় ধরনের অঘটনই কেবল বাংলাদেশকে তুলতে পারে ফাইনালে।
Advertisement
বয়সভিত্তিক দলের খেলা হলে ম্যাচটিকে বলা যেতো ফিফটি ফিফটি। কারণ, গত কয়েক বছর ধরে বয়সভিত্তিক ফুটবলে উড়ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ পর্যায়ের ফুটবলে ভারত কেনো, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়ার মতো দলের সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশ; কিন্তু সিনিয়র ফুটবলার না থাকায় জাতীয় দলের লড়াইয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। সর্বশেষ শনিবার নেপালের কাছে এই টুর্নামেন্টে ৩-০ গোলের হারই তার তরতাজা প্রমান। ভারততো আরো কঠিন প্রতিপক্ষ।
মেয়েদের দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্টে ভারত ছাড়া আর কোনো দেশ চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায়নি। নেপালের বিরাটনগরে থেকে ভারতীয় মেয়েরাই যে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরবেন তা অনুমেয়। তাই বুধবারই বাংলাদেশের মেয়েদের ছুটি হয়ে যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত।
মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের ইতিহাস বেশি লম্বা নয়। অন্যদিকে ভারতের ইতিহাস অনেক লম্বা ও সমৃদ্ধ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই দলের ৯ বারের মুখোমুখিতে ৮ বারই জিতেছে ভারত। একটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
Advertisement
সেটা সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে। ২০১৬ সালে শিলংয়ে গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করে ফাইনালে তাদের কাছেই বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-১ গোলে। বাংলাদেশের একমাত্র গোলটি করেছিলেন সিরাত জাহান স্বপ্না।
তবে সর্বশেষ সাক্ষাতটি বাংলাদেশের মেয়েদের ছিল তিক্ততায় ভরা। টোকিও অলিম্পিক ফুটবলের বাছাই পর্ব হয়েছে গত নভেম্বরে মিয়ানমারে। সেখানে ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৭-১ গোলে। ওই ম্যাচটি দুই দেশের মেয়েদের ফুটবলের পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিয়েছে।
আরআই/আইএইচএস/পিআর
Advertisement