আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬নং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ১১টা থেকে দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Advertisement
এ ঘটনায় রোববার সকালে রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আবুল খায়েরের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন- মো. ইসমাঈল (২৩), মো. হোছন (৩০) মো. আলম (১৯), মো. জুনাইদ (৩৫), ভুট্টো আলম (৫০), মো. ইউনুছ (১৮), মো. রফিক (১৮), মো, আমিন (১৯), আয়ার মোহাম্মদ (৩৫), মোহাম্মদ জাফর আলম (২২), শামশুল আলম (২০), দিল মোহাম্মদ (৩৫) ও এনায়েত উল্লাহ (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পের ভুট্টো-ইউনুছ ও নবী হোছন গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে দুই পক্ষ মারমুখী অবস্থা নিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিমের অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
Advertisement
কুতুপালং ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গারা একশ্রেণির আত্মঘাতী জাতি। তারা দেশের আইন-কানুন কিছুই তোয়াক্কা করে না।
রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা জানান, সন্ত্রাসী দুটি গ্রুপ প্রতিনিয়ত খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, গুম, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, শনিবার রাতের ঘটনা জানতে রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পর উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ র্যাবের সিপিসি ১ ক্যাম্পের ইনচার্জ মির্জা মাহতাব বলেন, নিরাপত্তা জোরদারে টেকনাফ সিপিসি-১ ও ২ ক্যাম্পের ৩২ সদস্য চারটি গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছে।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম