পটুয়াখালীতে প্রতি বছর বাড়ছে অধিক তাপ ও লবণাক্ত সহিষ্ণু বারি ৩৫-৪০ জাতের আলুর উৎপাদন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন বিভাগের সহযোগিতায় পটুয়াখালীর বাউফলে উচ্চ ফলনশীল বারি ১৩, ৩৫, ৩৭ ও ৪০ জাতের আলু চাষ করে এরইমধ্যে সফলতা পেয়েছে চাষিরা। তবে চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন ও হিমাগারের অভাবে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। তাই উৎপাদন খরচ পুষিয়ে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আলু চাষিদের।
Advertisement
বাউফলের দাসপাড়া এলাকার চাষি মো. জালাল মৃধা জানান, একটি গাছে ১৩টি আলু হয়েছে। এবছর ফলন ভালো হওয়াতে তিনি লাভবান হবেন। একই গ্রামের মো. আনছার হাওলাদার জানান, ফলন ভালো হয়েছে, বাজারে দাম একটু কম। দাম বাড়লে তাদের জন্য ভালো হতো।
> আরও পড়ুন- রাজবাড়ীতে বেড়েছে হলুদের আবাদ
পটুয়াখালী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খাঁন জানান, এ অঞ্চলে ডায়মন্ড ও সাধারণ জাতের আলু বেশি চাষ হয়। সাধারণ জাতের আলু স্বাভাবিক নিয়মে চাষ করে ৮৫ দিনের মধ্যে তোলা সম্ভব। উচ্চ ফলনশীল বারি আলু একই খরচে একইভাবে ৮৫ দিনের মধ্যে তোলা সম্ভব।
Advertisement
তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে বারি ১৩, ৩৫, ৩৭ ও ৪০ জাতের আলু দিয়েছিলাম। বারি আলু-৩৫ এবং ৪০ প্রতি হেক্টরে ৪০ টনের বেশি উৎপাদন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা এ জাত চাষ করতে আগ্রহী। বারি আলু চাষে তেমন কোন রোগ দেখা যাচ্ছে না। কৃষক বাজারে আলুর দাম ভালো পেলে আগামীতে উপকূলজুড়ে বারি জাতের আলুর ব্যাপক চাষ শুরু হবে।
> আরও পড়ুন- বিষমুক্ত বাউকুল চাষের নতুন সম্ভাবনা
পটুয়াখালী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মইনুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালীতে হিমাগার না থাকায় এ আলু সংরক্ষণ করা যায় না। তবে চাষীদের বীজের প্রয়োজন হলে বিএআরআই অফিসের মাধ্যমে সহজেই হাতে পাবেন।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এসইউ/আরআইপি
Advertisement