হৃদযন্ত্রের জন্য ডিম উপকারী নাকি অপকারী এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জেএএমএ জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষায় ফলাফল নিয়ে এই সংশয় তৈরি হয়েছে।
Advertisement
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকদিন একটির বেশি এমন কি অর্ধেক ডিম খেলেও কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি মৃত্যুর সম্ভাবনাও বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। প্রায় ৩০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে সতেরো বছর ধরে এই পরীক্ষাটি চলেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রত্যেকদিন অতিরিক্ত ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলও কিন্তু কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি আয়ুও বেশ খানিকটা কমিয়ে দিতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষের প্রতিদিনের ডায়েটে এবং ডিমের মধ্যে দিয়ে শরীরে খাদ্যজ কোলেস্টেরল প্রবেশ করে। তবে খাদ্যজ কোলেস্টেরল ও ডিম কার্ডিওভাসকুলার রোগ বা আয়ুকে কতটা প্রভাবিত করে সেটা নিয়ে কিন্তু এখনো বিতর্ক চলছে।
Advertisement
১৯৮৫ সালের ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের ৩১ অাগস্ট পর্যন্ত তথ্যগুলো গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে। এই তথ্য বিভিন্ন ব্যক্তির খাদ্যাভাসের উপরে ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই সময়কালের মধ্যে প্রায় ৫৪০০টি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঘটনা তাদের চোখে পড়েছে। যার মধ্যে ২০৮৮টি কম থেকে অতিরিক্ত বিপজ্জনক। ১৩০২টি অতি বা কম বিপজ্জনক স্ট্রোকের ঘটনা দেখা গেছে। ৬১৩২টি মৃত্যুর ঘটনা তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণায় আরো জানা গেছে, বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই নিয়মিত ডিম খান। আর এখান থেকেই বিতর্কের জন্ম! প্রত্যেক দিন ডিম খাওয়া বা সপ্তাহে ক'টা ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে আদৌ উপকারী সেই প্রশ্ন উঠেছে।
রয়টার্সের সঙ্গে এ সাক্ষাতকারে গবেষণার সহ-লেখক নুরিনা অ্যালেন বলেন, মানুষের উচিত এখনই ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া। অতিরিক্ত খাদ্যজ কোলেস্টেরল গ্রহণের ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঘটনা এবং মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।
Advertisement
এএ