রাজনীতি

‘মুজিব-চেতনায় ওভাবে বিশ্বাস নেই বলেই প্রতিক্রিয়াশীলদের আক্রমণ’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা বলি মুজিব আমার চেতনা, মুজিব আমার বিশ্বাস। সেই চেতনা-বিশ্বাসের জায়গা আমাদের এখনও শক্তিশালী হয়নি। হয়নি বলেই এখনও প্রতিক্রিয়াশীলরা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমাদের অর্থনীতি খামচে ধরার চেষ্টা করে। আমাদের সংস্কৃতিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করে। আমাদের সমাজব্যবস্থাকে কলুষিত করে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দুর্বৃত্তায়নের হাতে তুলে দেযার চেষ্টা করা হয়।

Advertisement

শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আমরা যে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি সেই ঐক্যকে যদি ধরে রাখতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা বলতে পারবো- পিতা তুমি যে আদর্শ আমাদের কাছে রেখে গেছ সে আদর্শ ধারণ করে আমরা তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারবো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন। আমরা সেই সাংস্কৃতিক বিপ্লব সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারিনি। সেই বিপ্লব করতে হলে আরও বেশি বঙ্গবন্ধুকে চর্চা করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে চর্চা করতে হবে। আমাদের শেকড়ের কাছে যেতে হবে।

Advertisement

খালিদ বলেন, ছয় দফা যখন বঙ্গবন্ধু দিলেন তখন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই কিন্তু ছয় দফার বিরুদ্ধে আরও অনেক দফা দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। অনেকেই সেটাকে মানেননি, অনেকে আওয়ামী লীগ থেকে চলে গেছেন। কিন্তু সেই সময় ওই যে ’৪৮ সালে তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করলেন, ছাত্রলীগ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে এক দফায় পরিণত করলো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সংগঠিত হয়ে যখন সব কিছু শক্তি দিয়ে পরাভূত করার জন্য পাকিস্তানি জান্তারা প্রস্তুত হলেন। অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে গণহত্যা করল তখনই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ২৬ মার্চ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে এখনও আমরা জেনে শেষ করতে পারিনি, আমাদের এখনও অনেক কিছু জানার আছে। আমাদের যদি সঠিকভাবে চেতনায় বঙ্গবন্ধু, বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু থাকতো তাহলে এটা হতো না।

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যা দিয়ে গেছেন, সে ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো না। বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়ে তিনি জাতির পিতা হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন, স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে তার অবদান অবিস্মরণীয়। ’৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু একক নেতায় পরিণত হয়েছেন।

Advertisement

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত লেখা ও আলোচনা হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো নেতাকে নিয়ে এত আলোচনা হয়নি। দুর্নীতি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমরা সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতত্বিে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকটে বলরাম পোদ্দার, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রফকিুল আলম, একুশে পদক বজিয়ী সাংস্কৃতকি ব্যক্তিত্ব আমানুল হক, সাংস্কৃতকি ব্যক্তিত্ব রোকয়ো প্রাচী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

এইউএ/এমবিআর/এমকেএইচ