তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে দু’একটি হলে যারা কারচুপির অভিযোগ করেন তারাই বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয়, সার্বিকভাবে ভালো নির্বাচন হয়েছে।’
Advertisement
চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে বীমা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৮ বছর পর ডাকসুতে নির্বাচন হয়েছে। এটি প্রচণ্ড ইতিবাচক দিক। কিছু ভুলত্রুটি সেখানে হয়েছে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। তদন্ত করছে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাও নিয়েছে। তাই অনুরোধ জানাব, যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা ছাত্রদের রায়ের প্রতি সম্মান রেখে তাদের কার্যক্রম চালাবেন।’
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিএনটি-ঐক্যফ্রন্ট) তো নির্বাচনের মধ্যে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। ছাত্রদল কত ভোট পেয়েছে, সেটি বলতেও তারা লজ্জা পাচ্ছে।’
Advertisement
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা বামপন্থী সংগঠন করে, তাদের প্রতি আমি যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তারা বাম-ডান সবাই মিলে চেষ্টা করেছিল ছাত্রলীগকে হটিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু বাম-ডান সবাই একত্রিত হয়েও ছাত্রলীগকে হারাতে পারেনি।’
বীমা খাত নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জিডিপির মাত্র দশমিক ছয়-সাত শতাংশ বীমা খাতের অবদান। ভারতে এটা চার দশমিক এক শতাংশ। আস্থার সঙ্কট দূর হলে বাংলাদেশে আগামী কয়েক বছরে এটা পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বীমায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। এটা দূর করতে হবে। সবাই করে না, কেউ কেউ করে। এতে আস্থা সঙ্কট হয়। বীমা খাতে জনসচেতনতা তৈরি ও সংশয় দূর করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিমা আফরোজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য গোকুল চাঁদ দাস।
Advertisement
আবু আজাদ/এনডিএস/এমকেএইচ