রাজনীতি

টাইগাররা নিরাপদ থাকায় ফখরুলের শুকরিয়া

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Advertisement

শুক্রবার দলটির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষতির বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খোলোয়াড়রা জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ক্রাইস্টচার্চ হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছের মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় একজনের কাছে জানতে পারেন, এই মসজিদে মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়রা তখন দৌড়ে মাঠে ফেরত আসেন।

‘এ ঘটনায় আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি নিরাপদে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা গন্তব্যস্থলে ফেরত আসার জন্য। আমি আশা প্রকাশ করছি, নিউজিল্যান্ডের সরকার বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করবে’, - বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। এ হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।’

Advertisement

উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ মার্চ) শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার চলতি সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। কিন্তু ম্যাচটি সমঝোতার ভিত্তিতে বাতিল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ (শুক্রবার) স্থানীয় সময় দুপুরে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ আল নুরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এমন এক ঘটনার পর খুব দ্রুত দেশে ফিরতে চাইছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তড়িঘড়ি করে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের দুপুর ১২টার (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) ফ্লাইটে দেশের বিমান ধরবে টাইগাররা।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ার একজন চরমপন্থীর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।

শুক্রবারের ভয়াবহ ওই হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে একজন হামলাকারীও রয়েছেন। এএফপি বলছে, পশ্চিমা কোনো দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এ হামলার ঘটনা সবচেয়ে ভয়াবহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, খুব কাছ থেকে হামলাকারীরা মানুষদের গুলি করে হত্যা করে।

Advertisement

কেএইচ/জেডএ/এমকেএইচ