অর্থনীতি

পতনের বাজারেও বাড়ল ডিএসইর মূলধন

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এরপরও বাজারটির মূলধন সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার উপরে।

Advertisement

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ১৩ হাজার ২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ।

অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৮ শতাংশ।

Advertisement

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৭০টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৯৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৯৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ।

Advertisement

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশই ছিল ‘এ’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১ দশমিক ২৬ শতাংশ ‘এন’ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং দশমিক ৯৫ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। ১৪৪ কোটি ৭৬ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- মুন্নু সিরামিক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিঙ্গার বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ।

এমএএস/এনডিএস/পিআর