যমুনা ও ধলেশ্বরীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চরাঞ্চলের প্রায় তিন হাজার বাড়ি ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। এসব জায়গায় বিশুদ্ধ পানি ও রান্না করার জ্বালানি এবং গো-খ্যাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে এখনো কোনো সহযোগিতা পৌঁছেনি সেখানে।উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দৌলতপুরের বাঁচামারা, বাঘুটিয়া, চরকাটারী, জিয়নপুর, খলশী, চকমিরপুর, ধামস্বর ও কলিয়া ইউনিয়নের অন্তত্ব ৪০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। চরাঞ্চলের বেশির ভাগ বাড়ি ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় রাস্তা ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন বাসিন্দারা। অনেকেই আবার ঘরের ভেতর উঁচু মাঁচা পেতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।চরকাটারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে জানান, বাড়ি-ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের খাবার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রান্না করার লাকড়ি না থাকায় বেশিরভাগ মানুষই শুকনা খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় এখন বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম সঙ্কট। বরাদ্দ না থাকায় বানভাসি মানুষজনকে কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না।জিয়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তার ইউনিয়নে আবুডাঙ্গা, ধুলট, বড়টিয়া ও লাউতারাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি ঘরেই এখন হাঁটু ও কোমর সমান পানি। বাঁচামারা-দৌলতপুর সড়কের বৈন্যা নামক স্থানে প্রায় এক হাজার ফুট পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় দৌলতপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমি নতুন। কয়েকদিন আগে যোগদান করেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করবো। বানভাসি মানুষের সাহায্যার্থে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এমজেড/এমএস
Advertisement