ভারতে ২০২০ সাল নাগাদ ১০ লাখ সাইবার বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা সাইবার বিশেষজ্ঞদের কদর বাড়াচ্ছে। দেশটিতে সাইবার হামলা বৃদ্ধির সঙ্গে বিভিন্ন খাতের নিরাপত্তা শঙ্কাও বাড়ছে। অর্থ আত্মসাৎ থেকে শুরু করে তথ্য হাতিয়ে নিতে হরহামেশাই ঘটছে সাইবার হামলা। অনলাইন দুনিয়ার বিভিন্ন নেতিবাচক অবস্থার মধ্যেও একটি বিশেষ শ্রেণির জন্য সুখবর রয়েছে। এ বিশেষ শ্রেণি হচ্ছে সাইবার বিশেষজ্ঞ। সাইবার হামলা বাড়ার কারণে বিশ্বব্যাপী সাইবার বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়ছে।ব্রিজেশ রাও এমনই এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী সাইবার বিশেষজ্ঞ। বিশেষজ্ঞদের এমন চাহিদা এ ২৪ বছর বয়সীকে আরো আগ্রহী করে তুলছে। তিনি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক ইনস্টিটিউট জেটকিংয়ে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ইতিবাচক হ্যাকিংয়ের বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তার মতো অনেকেই খাতটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। ব্রিজেশ রাও বলেন, বড় হামলাগুলো বিভিন্ন কোম্পানির সার্ভারেই বেশি হচ্ছে। এজন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। এ শিল্পে প্রবেশ করার এখনই উপযুক্ত সময়।তার এ আশাকে নিরুতৎসাহিত করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ভারতে সাইবার বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। এ প্রবণতার দিকে খেয়াল রেখে শিক্ষার্থীরাও এ বিষয়-সংশ্লিষ্ট পড়ালেখা বেশি করছেন। তবে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে পড়াশোনাকে সহজ মনে করেন না খাতসংশ্লিষ্টরা। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের নিত্যনতুন আপডেটের কারণে বিশেষজ্ঞদেরও সে অনুযায়ী নিজেদের তৈরি করতে হয়। এ বিষয়ে টিম লিজ সার্ভিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘বিশেষায়িত কোর্সের অভাব রয়েছে। প্রতি ১৮ মাসে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতে বড় ধরনের আপডেট আসছে। এ কারণে সংশ্লিষ্টদেরও নিজেদের উন্নত করতে হবে। নতুবা নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সহজ হবে না।’সাইবার হামলা বাড়ার কারণে সাইবার বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত কয়েক বছরে ভারতে সাইবার হামলা বেড়েছে অনেক বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের হামলার শিকার হচ্ছে। এ কারণে দেশটিতে সাইবার হামলা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই সাইবার বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়ছে। এসএইচএস/এমএস
Advertisement