অফিস ফার্নিচার নির্মাণকারী এবং অভিনব ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশনস্ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টিলকেস বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার বনানীতে প্রতিষ্ঠানটির শোরুম উদ্বোধন করা হয়। সেই সঙ্গে স্টিলকেসের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
Advertisement
বনানী এলাকার ভেঞ্চুরা ত্রিভেনিতে (লেভেল-৮) অবস্থিত শোরুমটি বাংলাদেশে স্টিলকেসের প্রথম শোরুম বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় কোনো দেশে স্টিলকেস তাদের শোরুম স্থাপন করলো। চলতি বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি শ্রীলঙ্কায় তাদের শোরুম স্থাপন করে।
বনানীর শোরুমটি ওয়ার্ক স্পেস টেকনোলোজির সঙ্গে সম্মিলিতভাবে পরিচালনা করা হবে জানিয় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। স্টিলকেস বিশ্বাস করে তাদের অভিনব ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশনস, গ্রাহক ভিত্তিক আর্কিটেকচার, ফার্নিচার এবং টেকনোলোজি সল্যুশনস সেবার মাধ্যমে একটি সুন্দর কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদান করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্থানীয় ও বিদেশি উভয় ধরনের ব্যবসায়ীদের জন্য স্টিলকেসের শোরুমটি একটি তথ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা সারা বিশ্বে স্টিলকেসের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত সর্বশেষ গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা তাদের ক্রমবর্ধমান ব্যবসার প্রসারে সহায়ক হবে।
Advertisement
স্টিলকেসের ইন্ডিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রভীন রাওয়াল বলেন, বর্তমানে প্রত্যেকটি ব্যবসা একটি অপরটির সঙ্গে সংযুক্ত, যা ক্রমাগতভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই কর্মীদের জন্য এমন একটি কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজন, যা তাদেরকে যেকোন স্থানে এবং যেকোন সময় কাজ করার প্রেরণা দিবে। আমরা ডব্লিওএসটি’র সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রের ডিজাইন করা বিষয়ে তাদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা আমাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশনস এবং ফার্নিচার সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
স্টিলকেসের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়ে ওয়ার্ক স্পেস টেকনোলজির ম্যানেজিং পার্টনার মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিখ্যাত বাণিজ্যিক কর্মক্ষেত্রের ডিজাইন ও ফার্নিচার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্টিলকেসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের যৌথ উদ্যোগ নতুন ডিজাইনে অবদান রাখবে এবং বাংলাদেশী কর্মক্ষেত্রের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ক স্পেস টেকনোলজি ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আমি বিশ্বাস করি এই অংশীদারিত্ব দেশের কর্মক্ষেত্রের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখবে। একটি কোম্পানির উন্নয়নে কর্মীদের কাজে নিয়োজিত থাকা এবং তাদের সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা তাদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য আমাদের বিশেষায়িত সমাধান প্রদানের জন্য প্রস্তুত।
এমএএস/এমবিআর/এমকেএইচ
Advertisement