জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অব দ্য ওআইসি মেম্বার স্টেটস (পিইউআইসি) মুখপাত্র হিসেবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে।’ আর্থসামাজিক উন্নয়নে পিইউআইসি অগ্রবর্তী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় তিনি নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় এবং রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধে পিইউআইসিকে সোচ্চার ও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
Advertisement
বৃহস্পতিবার মরক্কোর রাবাতে অনুষ্ঠিত পিইউআইসির ১৪তম সম্মেলনে বৃহস্পতিবার জেনারেল কমিটির সভায় এসব কথা বলেন স্পিকার।
তিনি বলেন, ‘পিইউআইসি সার্বজনীন নৈতিকতার কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করতে পারে। ওআইসির বিবেচ্য আর্ন্তজাতিক সব বিষয়ে এ সংগঠন আরও কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হয়ে মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।’
শিরীন শারমিন বলেন, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। পাঁচ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সদিচ্ছাই দিতে পারে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও টেকসই সমাধান।’
তেহরানে ১৩-১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পিইউআইসির ১৩তম সম্মেলনে নিরীহ ও নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংগঠনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, ‘ওআইসির কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ এর আওতায় ব্লু ইকোনমি, গ্রিন ইকোনমি, আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ স্থাপন, আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, ওআইসিভুক্ত দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে- যা বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, এসএম শাহজাদা এমপি, সৈয়দা জাকিয়া নূর এমপি, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান অংশ নেন।
Advertisement
এইচএস/এনডিএস/পিআর