একটা সিঙ্গারা কিনতে দাম গুনতে হবে ১০ টাকা। আর এক কাপ চায়ের দাম ৮ টাকা। তবে শুধু চা-সিঙ্গারাই নয়, নির্বাচনের আগে মোট ১৭১টি পণ্য এবং পরিষেবার ‘ফিক্সড প্রাইস’ ধার্য করে দিয়েছেন ভারতের পাঞ্জাবের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস করুণা। তিনি জানান, ভোটের সময়ে প্রার্থীদের লাগামহীন খরচের জন্য এই পদক্ষেপ।
Advertisement
নিয়ম অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রার্থীরা ৭০ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও প্রার্থীই যাতে এর অপব্যবহার না করতে পারেন তাই প্রার্থীদের খরচের হিসাব-নিকাশ দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের উচ্চপদস্থ অফিসারদের।
কোনও অফিসঘর ভাড়া নিতে কত খরচ হবে, তা-ও ঠিক করে দিয়েছে কমিশন। যেমন অফিসঘরটি শহরের মধ্যে হলে দিতে হবে ১০ হাজার। গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে খরচ অর্ধেক, অর্থাৎ ৫ হাজার। ব্যানার, দলীয় পতাকা, পোস্টারের মতো জিনিসের ন্যূনতম দাম কত হবে তাও ঠিক করে দেয়া হয়েছে। ব্যানারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুটে দিতে হবে ৮ টাকা। দলীয় পতাকার জন্য ৩০ টাকা। ফ্লেক্স ফ্রেমের জন্য প্রতি বর্গফুটে দিতে হবে ৫০ টাকা।
চা-সিঙ্গারার পাশাপাশি দাম ধার্যের তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি প্রচলিত খাবারও। যেমন একটি ব্রেড পাকোড়ার দাম পড়বে ১০ টাকা। আর স্যান্ডউইচের দাম ১৫ টাকা। জিলিপি, বিস্কুট, বরফির দাম যথাক্রমে কেজি প্রতি ১৪০ টাকা, ১৫০ টাকা এবং ২০০ টাকা। এমনকি প্রচারে কোনও বিখ্যাত গায়ককে ব্যবহার করতে চাইলেও দু’লাখের বেশি ব্যয় করা যাবে না। স্থানীয় শিল্পীর ক্ষেত্রে খরচ ৩০ হাজারের মধ্যেই রাখতে হবে।
Advertisement
জেএইচ/জেআইএম