বিয়ে বাড়ি বলে কথা। সকাল থেকেই বাড়িতে চলছে হই-হুল্লোড়। বর আসবে সঙ্গে আসবে বরযাত্রীরা। তাই ভুরিভোজের জন্য বাড়ির এক পাশে চলছে রান্নার আয়োজন। দুপুর হতেই পৌঁছে গেল বরপক্ষ। আপ্যায়ন শেষে বিয়ে পড়ানোর কাজও শেষ। একটু পরেই নতুন বউ নিয়ে গাড়িতে উঠে বাড়ি ফিরবেন বর।
Advertisement
কিন্তু হঠাৎ বিয়ে বাড়িতে হাজির হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালীগঞ্জ থানা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা। নিমিষেই বাড়িতে নেমে এল নীরবতা। বাল্যবিয়ে হওয়ায় এমন পরিস্থিতি।
পরে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় উভয় পক্ষকে আনা হলো জরিমানার আওতায়। আর আইনবিরোধী বাল্যবিয়ে পড়ানোর জন্য কাজীকে দেয়া হলো ৭ দিনের কারাদণ্ড।
বুধবার ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মাঝদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন উপজেলার মাঝদিয়া গ্রামের কাশেম আলীর ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে আদুরীর (১৫) সঙ্গে যশোরের শংকরপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের বিয়ের হয়। মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়ায় বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে বরপক্ষকে ২০ হাজার ও কনে পক্ষকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা জানান, বাল্যবিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়েই তিনি পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। সেখানে পৌঁছে দেখেন বরপক্ষ নতুন বউ নিয়ে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সময় বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে কাজী বারবাজার বেলাট গ্রামের রবিউল ইসলামকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফএ/জেআইএম