১৮ এপ্রিল সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে হকার্স ইউনিয়ন। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধ, গ্রেফতার, দমন-পীড়ন-নির্যাতন বন্ধসহ হকারদের ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
Advertisement
বুধবার (১৩ মার্চ) হকার্স ইউনিয়ন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পল্টনস্থ মুক্তি ভবনের অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাশেম কবীর, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আহমেদ আলী, মো. শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিমউদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেত্রী আজিজিয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা আফসার উদ্দিন, মো. মজিদ, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রায় দুই কোটির অধিক মানুষের শহরে কমপক্ষে চার লাখ হকার ফুটপাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ মানুষগুলো নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সহায়-সম্বল হারিয়ে রাজধানীতে বসবাস করছে। তারা এখন ঢাকা শহরের ভোটার। ফুটপাত থেকে উপার্জন করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। শুধু তাই নয়, তাদের উপার্জনের সঞ্চিত অর্থ থেকে কিছু টাকা গ্রামে বাবা-মায়ের জন্য পাঠায়, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখে। হকাররা সর্বদা হয়রানি, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির শিকার হয়। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল একনেকের সভায় সিটি কর্পোরেশনকে হকারদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন হকারদের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদের নামে উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
দাবি আদায়ে সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আগামী দেড় মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
Advertisement
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৪ মার্চ দুপুর ১২টায় ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে স্মারকলিপি, ১৮ মার্চ দুপুর ১২টায় জাসদ সভাপতি ও সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনুকে স্মারকলিপি, ২১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি, ২৪ মার্চ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি, ২৭ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি, ৩১ মার্চ সুধী সমাবেশ, ৩ এপ্রিল সিটি কর্পোরেশনে স্মারকলিপি, ৭ এপ্রিল গোলটেবিল বৈঠক, ১০ এপ্রিল প্রতীকী অনশন এবং ১৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান।
এফএইচএস/এএইচ/এমএস