টেকসই নগর উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
Advertisement
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নিরাপদ ও টেকসই শহর বিনির্মাণ’ বিষয়ে এক কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বেসরকারি সংস্থা রামরু এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে আসা নতুন অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের মানবিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি বিষয়ক দুটি গবেষণার ফলাফল এই কর্মশালায় উপস্থাপন করে রামরু, যুক্তরাজ্যের এক্সিয়েটার বিশ্ববিদ্যালয় ও সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইকাড।
Advertisement
এক্সিয়েটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিল এজার তার মূল প্রবন্ধে মহানগরগুলোতে আগত নতুন অভিবাসীদের জন্য জীবিকা অর্জনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, সকল বয়সের অভ্যন্তরীণ অভিবাসী শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এবং দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টিকরণ এবং নগর বিষয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ এবং সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী শহরে আগত নতুন অভিবাসীদের হুমকি হিসেবে বিবেচনা না করে নগর জীবনে তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে নগর পরিকল্পনায় তাদের জন্য যথাযথ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, শিল্প কারখানার শ্রমিক, গার্মেন্ট শ্রমিকসহ সকল সেবা প্রদানকারীদের বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডারা জনসটন বলেন, শহরের বস্তি এলাকায় শিশুশ্রম ব্যবহৃত হবার ঝুঁকি দ্বিগুণ। টেকসই শহর বিনির্মাণে শিশুদের অধিকারগুলো দেখার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
Advertisement
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান, প্ল্যানিং কমিশনের চিফ এসিসট্যান্ট শিমুল সেন, স্থপতি কাজী এম আরিফ, পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমান, ডিএফআইডির সোসাল ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার আনোয়ারুল হক, ইকাড-এর পরিচালক ড. সালিমুল হক এবং এক্সিয়েটার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকার্ডো সাফরা ডি ক্যামপোস।
জেপি/এমবিআর/পিআর