সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে একই পরিবারের ৭ জনের প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন। দোষীদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথ নিরাপদ রাখা এবং জনবান্ধব গণপরিবহন নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
Advertisement
আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সদরঘাটে যেখানে সেখানে ইজারাদারদের বসানোর কারণে এমন দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। তাদের অবৈধ লুটপাটের ফলে দিনকে দিন বুড়িগঙ্গা নদীতে দুর্ঘটনা বাড়ছে। মাঝিদের কাছ থেকে প্রতি ট্রিপে সরকার-নির্ধারিত ফি পঁচিশ পয়সার পরিবর্তে ইজারাদাররা পাঁচ থেকে দশ টাকা করে মাঝিদের কাছ থেকে আদায় করছে। ফলে মাঝিরা অতিরিক্ত লাভের আশায় বেশি যাত্রী বহন করছে। এতে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।’
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বুড়িগঙ্গা নদীতে চার জন প্রাণ হারায়। তার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় আবারও তাজা সাতটি প্রাণ ঝরে পড়ল। এটা বন্ধ হওয়া জরুরি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও এই ঘটনায় নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
Advertisement
সভাপতির বক্তব্যে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল বলেন, ‘প্রতিবছর নৌপথে অসংখ্য যাত্রীর মৃত্যু হলেও এ ঘটনা খুব একটা আলোচনায় আসে না। ফলে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে নৌপথ। বিশেষ করে সদরঘাটে নিয়মিত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার কারণে আবারও ঝরল ৭টি প্রাণ।’
নৌকাডুবিতে প্রাণহানির দায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করে সারাদেশের নৌপথ নিরাপদ রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।
গণপরিবহনের শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে কেফায়েত শাকিল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক ও জনবান্ধব গণপরিবহনের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। কিন্তু আন্দোলনের পর ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি। আজও মানুষকে গণপরিবহনে নিয়মিত নিপীড়নের শিকার হতে হয়। সিটিং সার্ভিসের চিটিংবাজিতে নগরবাসী এখন আরও অতিষ্ঠ।’
এ সময় যাত্রী অধিকার আন্দোলনের গবেষণা সেলের প্রধান নাজমুস সাকিব, সদস্য রাকিব হাওলাদার, এস এম সজীব, সোহেল তাজ, বিল্লাল হোসেন সাগর, মনি, হুমায়ুন আহমেদ, জুবায়ের আহসান, আজাদ, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
Advertisement
জেইউ/এসআর/পিআর