আইন-আদালত

রাজীবের মৃত্যু : তদন্ত প্রতিবেদন ১৮ এপ্রিল

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেপরোয়া দুই বাসের চাপায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

আজ (বুধবার, ১৩ মার্চ) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী নতুন এ দিন ধার্য করেন।

২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তার মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে।

দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজীব। এরপর ওইদিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল তিনি মারা যান।

Advertisement

২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজীব বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮ এর ‘ক’ ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১১(৪)১৮)। ২৭৯ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ৩৩৮ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের জেল।

মামলার পরই বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন।

রাজীবের মৃত্যুর পর বেপরোয়া যান চালিয়ে হত্যার অভিযোগের একটি ধারা ওই মামলায় যুক্ত করার আবেদন করেন শাহবাগ থানা পুলিশ।

জেএ/এমএমজেড/জেআইএম

Advertisement