হবিগঞ্জের বাহুবলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। সংঘর্ষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বাহুবল উপজেলার স্লানঘাট গ্রামের ইউপি সদস্য চান মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল মিয়া উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদির চৌধুরীর আনারস প্রতীকের পক্ষে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ নিয়ে বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইকে কটূক্তি করে আরও একটি স্ট্যাটাস দেন তোফাজ্জল মিয়া। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে তোফাজ্জল মিয়ার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেন একই গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা তবারক আলী। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ফেসবুকে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পাশাপাশি এ নিয়ে একে-অপরকে হুমকিও দেন।
Advertisement
ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় স্লানঘাট বাজারে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেন তোফাজ্জল মিয়া। এ নিয়ে যুবলীগ নেতা তবারক আলী প্রতিবাদ করেন। তাদের দুজনের ফেসবুক যুদ্ধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এএম/জেআইএম
Advertisement