রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত জাতীয় মৌ মেলা আজ (মঙ্গলবার) শেষ হয়েছে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ছিল ‘পুষ্টি, আয় ও ফলন বাড়াবে মৌচাষ’। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
Advertisement
তৃতীয়বারের মতো কৃষি মন্ত্রণালয় মৌ মেলার আয়োজন করে। মেলায় সরকারি ৬টি ও বেসরকারি ৫৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। মোট স্টল ছিল ৬২টি। মেলায় এবার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মধু বিক্রি হয়েছে। গত বছর মধু বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১১ লাখ টাকার।
আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে আয়োজিত মৌ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ড. মো. আব্দুর রৌফ। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ মো. আকরামুল হক।
মেলার প্রতিপাদ্যের সঙ্গে স্টলের সামঞ্জস্য, সাজসজ্জা, প্রদর্শীত মধু আইটেমের সংখ্যা ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
Advertisement
বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে আল ওয়ান এন্টারপ্রাইজ, এপি মধু দ্বিতীয় এবং সলিড মধু তৃতীয় হয়েছে। এছাড়া মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার (১০ মার্চ) প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এফএইচএস/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement